নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্যাতনের কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক একটি মাল্টি সেক্টর প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তার কর্যালয়ে সাক্ষাৎ করে বিশ্বব্যাংকের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিশ্বব্যাংকের এই আগ্রহের কথা জানান। ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি কিমিয়াও ফ্যান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তাদের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও সোশ্যাল, আরবান, রুরাল অ্যান্ড গ্লোবাল প্র্যাকটিসের প্র্যাকটিস ম্যানেজার ক্রিসটোপ পুস, অপারেশনস্ ম্যানেজার রাজশ্রী এস. প্যারালকর, প্রোগ্রাম লিডার সঞ্জয় শ্রীবাস্তব এবং সিনিয়র ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেসালিস্ট স্বর্ণা কাজী এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জানানো হয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নভেম্বর-২০১৮ হতে অক্টোবর-২০২১ মেয়াদে প্রণীত প্রকল্প অংশের মোট ব্যয় হবে প্রায় ২শ’ ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজার জেলার উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার ৩২টি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য পাইপড্ এবং নন-পাইপড্ পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি এ ক্যাম্পসমূহে ফিক্যাল স্লাজ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য বিশ্ব ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেনের’র সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী।
পাঠকের মতামত